প্রতি বছরের মতো এবার ও ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের অনেক এলাকা বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে পাকা, ইটসলিং সহ কাঁচা রাস্তারগুলির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানাগেছে
সোমবার (১৯ মে)অনুমানিক রাত ১২টা থেকে ভারি বর্ষণ হলে পানিতে উপজেলার অনেক এলাকা তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বিশেষ করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড়ি ঢল নেমে কানাইঘাটের লোভা নদীতে প্রভাবের ফলে এমনটি হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকে ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লোভা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেয়। এতে সুরমা নদীর পানি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত বিপদ সীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত লোকজনের মধ্যে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে। পাহাড়ি ঢলের কারনে সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের কয়েকটি রাস্তার ক্ষতিসাধন হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট ও ফসলি ক্ষেতের জমি।
এদিকে সকাল থেকে ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাও. জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ভারি বর্ষণ ও ভারত সীমান্ত এলাকায় কয়েকদিন থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে পাহাড়ি ঢলের পানি সুরই নদী, আমরি ও সিঙ্গারীখাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে তার ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা বানের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে সুরইঘাট টু বাঘরা দেড়শ ফিট মেকাডম করা রাস্তার কয়েকটি স্থানে পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। গোরকপুর জিসি সড়কের মাটির রাস্তা, সুরইঘাট টু মুলাগুল এলজিইডির পাকা সড়কের আব্দুল করিমের বাড়ির সামনে অংশ ভেঙে গেছে। এছাড়াও বাদশা বাজার সংলগ্ন পয়েন্ট থেকে ডগিরপার ইটসলিং রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে এবং কানাইঘাট-সুরইঘাট পাকা সড়কের লালমসজিদ রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ভোর থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে কানাইঘাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।