প্রায় তিন-চার বছর আগে সিলেটের কানাইঘাটে বিগত সরকারের আমলে জব্দকৃত লোভাছড়ার প্রায় ৫০ লাখ ফুট পাথর বহু দিন পর অকশনে গেছে। উক্ত পাথরের মূল্য প্রায় ২২ কোটি টাকায় স্থানীয় একটি ব্যবসায়িক গ্রুপ পিয়াস এন্টারপ্রাইজের নামে জব্দকৃত পাথর লিজ নিয়েছে। ইতিমধ্যে টাকা ও জমা দেয়া হয়েছে। এখন পাথর বিক্রির অনুমতির অপেক্ষা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় লোভাছড়া নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় লুট হয়ে যাচ্ছে লোভার অকশনের পাথর। প্রতিদিন ১০-১২ লাখ টাকার পাথর স্থানীয় একটি চক্র এ পাথর লুটে নিয়ে নদী পথে পাচার করে দিচ্ছে। কানাইঘাটের লোভাছড়ার এই পাথর নিয়ে নাটকীয়তার শেষ নেই। প্রায় চার বছর আগে লিজের মেয়াদ চলে যাওয়ায় লোভাছড়ার পাথর জব্দ করেছিল জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। ওই সময় নদীর তীরে থাকা কয়েকশ’ স্টোন ক্রাশার মিল ভাঙচুর করা হয়। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হন। দীর্ঘদিন উত্তোলিত এই পাথর নিয়ে প্রশাসন নীরব ছিল। ওই সময় প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপ থাকার কারণে পাথর লুটেরা পিছু হটে। কয়েকজনকে ধরে শাস্তির আওতায় আনা হয়। গত ডিসেম্বর মাসে জেলা প্রশাসনের তরফ বর্তমানে থাকা ৪৪ লাখ ফুট পাথর অকশন আহ্বান জানান। এরপর পিয়াস এন্টারপ্রাইজ এতে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা অকশন পায়। পিয়াস এন্টারপ্রাইজের মালিকপক্ষ জানায়, প্রায় ২২ কোটি টাকায় তারা এই পাথর অকশনে নিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র এই পাথর লুটে নিচ্ছে। শুস্ক মৌসুমে ট্রাক্টরে করে তারা পাথর লুট করে। ওই সময় জনপ্রতিনিধিদের বাধার কারণে তারা নীরব ছিল। কিন্তু বর্তমানে নদীতে পানি এসে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে লুট করা হচ্ছে পাথর। প্রতিদিন ৮০-১০০টি নৌকা গিয়ে নদীতীরবর্তী মুলাগুলসহ কয়েকটি এলাকা থেকে এ পাথর লুট করছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পাথর লুটের মহোৎসব চালানো হচ্ছে।
এতে করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ জানান, দিনমজুর পরিচয়ে কিছুসংখ্যক মানুষ নৌকা দিয়ে পাথর লুটে নিয়ে যায়। পরে সেগুলো বিক্রি করে ফেলে। কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল সাহেবের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকবার কল করে ও উনাকে পাওয়া যায় নি ।