সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারী এলাকায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্তারবাজারে পুলিশি চেকপোস্টের দায়িত্ব পালনকালে থানায় কর্মরত নারায়ন চন্দ্র দাস নামে পুলিশ কনস্টেবলকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হেনস্তার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়- জকিগঞ্জ উপজেলাসহ বহিরাগত এলাকার বেশ কয়েকজন লোক চিন্তারবাজার লোভা নদীর পারে পুলিশ কনস্টেবল নারায়ন চন্দ্র দাসকে কোয়ারী থেকে ছেড়ে আসা পাথরবাহী বারকি নৌকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জেরা করছেন। একপর্যায়ে তারা পুলিশ সদস্যের পরনের পেন্টের পকেট থেকে টাকা বের করে বারকি নৌকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে হেনস্থা করে ভিডিও করতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ভিডিও ধারনের হেনস্তাকারীরা ঐ পুলিশ সদস্যকে আটক করে জোরপূর্বক নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে যেতে দেখেন। সাথে সাথে হেনস্তার বেশ কয়েকটি ভিডিও বিভিন্ন আইডি থেকে ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তা মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।বারকি নৌকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পুলিশ সদস্যকে হেনস্থা ও আটকের বিষয়টি কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো থানার কর্মরত কনস্টেবল নারায়ন চন্দ্র দাস ও জিয়াউল হক লোভাছড়া কোয়ারীর চিন্তারবাজার এলাকায় চোরাচালান বিরোধী চেকপোস্ট ও পাথর কোয়ারী দেখবালের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। শনিবার সকালে থানা পুলিশ ৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ একজনকে আটক করে। চিনি আটকের পর চোরাকারবারী জকিগঞ্জের সুইচ মাসুম ও তার সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য চিন্তারবাজার পুলিশ চেকপোস্টের পাশে ডিউটিরত পুলিশ কনস্টেবল নারায়ন চন্দ্র দাসকে কোয়ারীর বারকি নৌকায় চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তুলে হেনস্থা করে। ঐ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশ সদস্যকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতেই চোরাকারবারীরা নারায়ন চন্দ্র দাসকে নৌকায় তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের একাধিক টিম নারায়ন চন্দ্র দাসকে উদ্ধারের চেষ্টাকালে চোরাকারবারী সুইচ মাসুম ও তার সহযোগীরা কৌশলে নারায়ন চন্দ্র দাসকে গোলাপগঞ্জ থানায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে নারায়ন চন্দ্র দাসকে নিয়া আসি।ওসি আব্দুল আউয়াল আরো বলেন, পুলিশ সদস্য কর্তৃক বারকি নৌকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে হেনস্থার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে পুলিশ সদস্যকে জেরাকারী জকিগঞ্জের মাসুম আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি তিনি।